Geography Part- I

Geography Part- I

⊗ তথ্যপ্রবাহ : 

♦ পৃথিবীর প্রকৃত পরিধি — প্রায় ৪০,২৩৪ কি:মি:।

♦ পৃথিবীর ব্যাসার্ধ — প্রায় ৬,৪৩৬ কি:মি:।

♦ পৃথিবীর ব্যাস — প্রায় ১২,৬৬৭ কি: মি:

♦ পৃথিবীর আয়তন — প্রায় ৫১,০১,০০৫০০ বর্গ কি:মি:।

♦  পৃথিবীর জলভাগের পরিমাণ — প্রায় ৩৬,১১,৪৮,২০০ কি:মি:।

♦ পৃথিবীর স্থলভাগের পরিমাণ — ১৪,৪৯,৫০,৩২০ কি:মি:।

♦  সূর্য হতে শনির দূরত্ব — ১৪৩ কোটি কি:মি:।

♦  চাঁদের ব্যাস — ২,১৬০ কি:মি:।

♦ মঙ্গল গ্রহের ব্যাস — ৬,৭৯৮ কি:মি:।

♦ বৃহস্পতির ব্যাস — ১,৪২,৮০০  কি:মি:।

♦ নেপচুন গ্রহের ব্যাস — ৪৯,৫০০ কি: মি:।

♦  প্লুটো গ্রহের ব্যাস — ৩,০০০ কি:মি:।

♦ বাংলাদেশের শতকরা কতজন লোক কৃষিকাজ করে — প্রায় ৮০ জন।

♦ বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ — ২ কোটি ১ লক্ষ ৫৭ হাজার একর।

♦ বাংলাদেশে বার্ষিক চা উৎপাদনের পরিমাণ — ৯.৫ কোটি পাউন্ড।

♦ এশিয়া মহাদেশে ধান জন্মে — প্রায় ৯৩%।

♦ ‘ভ্যাট’-কার্যকারী হয় — ১ জুলাই, ১৯৯১ সাল হতে।

♦ শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের অবস্থান — উন্নয়নশীল।

♦ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মানুষের বড় সমস্যা — সম্পদের স্বল্পতা।

♦ ইউরিয়া সারের প্রধান কাঁচামাল — মিথেন গ্যাস।

♦ বাংলাদেশে রাবার ভাল জন্মে — চট্টগ্রামের রামুতে।

♦ বাংলাদেশের প্রধান আমদানী দ্রব্য — শিল্পজাত দ্রব্য।

♦ বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানী দ্রব্য — তৈরি পোশাক, চা ও চামড়া।

♦ পরিবহনের জন্য মানুষ প্রথমে ব্যবহার করে — গরু, ঘোড়া ও উট।

♦ সমাজের প্রাথমিক পর্যায়ে পরিবহনের মাধ্যম ছিল — ভারবাহী জন্তু।

♦ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শহরগুলো গড়ে উঠে — নদীর তীরে।

♦  সবচেয়ে দ্রুতগামী ও ব্যয় বহুল পরিবহন মাধ্যম— উড়োজাহাজ।

♦ মাল পরিবহণে খরচ কম হয় — নৌ-পথে।

♦  ভূগোলের প্রধান উপাদান হলো— মানুষ ও পৃথিবী।

♦ মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পৃথিবীর বর্ণনাই— ‘ভূগোল’।

♦ ‘Geography’ এর বাংলা প্রতিশব্দ — ‘ভূগোল’।

♦   ‘Geography’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন — ‘প্রাচীন গ্রিস দেশীয় ভূগোলবিদ ইরাটস থেনিস’।

 

সাধারণ আলোচনা

♦ সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ→ বৃহস্পতি।
♦ পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ → শুক্র।
♦ আকাশের উজ্জ্বলতম নক্ষেত্রের নাম → লুব্ধক।
♦ লাল গ্রহ বলে → মঙ্গল গ্রহকে।
♦ সূর্যের নিকটতম নক্ষত্র → প্রক্সিমা সেন্টারই।
♦ পৃথিবীর আনুমানিক বয়স → কমপক্ষে ৪,৫০০ মিলিয়ন বছর।
♦ বিষুর রেখার পরিধি → ৪০,০৭৬ কিলোমিটার।
♦ পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট→ ৮,৮৫০ মিটার।
♦ পৃথিবী  → ৩৬৫ দিন, ৫ ঘন্টা, ৪৮ মিনিট, ৪৭ সেকেন্ডে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে।
♦ পৃথিবী নিজ অক্ষের উপরে → ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিটে একবার আবর্তন করে।
♦ পৃথিবী হতে চন্দ্রের গড় দূরত্ব → ৩,৮৪,৪০০ কিলোমিটার।
♦ পৃথিবীর শীতলতম স্থান → ভারখয়ানস্ক, রাশিয়া ৮৯.৯ড় ফারেনহাইট।
♦ পৃথিবীর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত অঞ্চল → চেরাপুঞ্জি, মেঘালয়, ভারত।
♦ পৃথিবীর জীবন্ত আগ্নেয়গিরির সংখ্যা → ৪৮৬টি।
♦ সর্ববৃহৎ অগ্ন্যুাৎপাত ঘটে → ১৮৮৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকোতোয়ার।
♦ পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ → স্পুটনিক-১।
♦ পৃথিবীতে স্থল ভাগের আয়তন → ২৯%।
♦ পৃথিবীতে জল ভাগের আয়তন → ৭১%।
♦ নীল আর্মষ্ট্রং → ২১ জুলাই, ১৯৬৯ প্রথম চন্দ্রে পদার্পন করেন।
♦ উইলিয়াম অ্যালকক → ১৯১৯ সালে প্রথম উড়োজাহাজে বিরতিহীন ভাবে আটলান্টিক পাড়ি দেন।
♦ এমান্ডসেন  →  ১৯১২ সালে দক্ষিন মেরু আবিষ্কার করে।
♦ কপার নিকাস  →  ১৫৪০ সালে প্রথম সৌরজগৎ আবিষ্কার করেন।
♦ লিভিংস্টোন  → ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত এবং নায়াগ্রা হ্রদ আবিষ্কার করেন।
♦ তেনজিং এবং হিলারী →  ১৯৫৩ সালে এভারেস্ট জয় করেন।
♦ কলম্বাস → ১৪৯২ সালে দঃ আমেরিকা আবিস্কার করেন।
♦ ভাস্কো-দা-গামা → ভারতে আগমন করেন ১৪৯৮ সালে।
♦ ম্যাগিলান → প্রথম নেকৗপথে পৃথিবী পরিভ্রমন করেন।
রবার্ট পিয়েরে → ১৯০৯ সালে উত্তর মেরু আবিস্কার করেন।

বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড

♦ মহাবিশ্বের জন্ম – মহা বিস্ফোরণের → ( Big Bang ) মাধ্যমে।
♦ মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে যে আকর্ষণ দ্বারা ধরে আছে তাকে বলে মহাকর্ষ শক্তি।
♦ Big Bang ধারণার প্রবর্তক: জর্জ লেমিটেয়ার গ্যাসো।
♦ ইরম ইধহম তত্ত্বের পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেন – স্টিফেন হকিং →পদার্থ বিজ্ঞানী)
♦ মহা বিশ্বের প্রসারমাণতা →(Expanding Universe) প্রমান করেন এডউইন হাবল।
♦ কোয়ান্টাম তত্ত্বের জনক – ম্যাক্স ফ্লাঙ্ক।
♦ আপেক্ষিক তত্ত্বের →(Theory of Relativity) জনক – আলবার্ট আইনস্টাইন।
♦ (Continental Drift Theory) এর প্রবক্তা – এ ওয়েগনার →(Alfed Wegener)
♦ সৌর কলঙ্ক আবিষ্কার করেন – গ্যালিলিও
♦ সূর্য কেন্দ্রিক পৃথিবীর ঘূর্ণন ব্যাখ্যা করেন – নিকোলাস কোপার নিকাস।
♦ সৌর শক্তি সৃষ্টির প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন- আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯২৫ সালে।
♦ সূর্যের চর্তুদিকে অবস্থিত হালকা গ্যাসের আবরণ- করোনা।
♦ Black Hole বা কৃষ্ণ গহ্বর আবিষ্কার করেন – জন হুইলার ১৯৫৭ সালে।
♦ গ্যালিলিও ছিলেন – ইতালির জ্যোতিবিজ্ঞানী।
♦ ব্ল্যাকহোল শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন- জন হুইলার →(U.S.A)

 

বিগ ব্যাং পরীক্ষা

♦ সৃষ্টি রহস্য জানতে ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৮ বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের প্রায়োগিক পরীক্ষা শুরু করেন।
♦ স্কটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক পিটার হিগস প্রস্তাবিত গডস পার্টিকল বা ঈশ্বর কণা →হিগস-বোসন) সন্ধান পাওয়া এর উদ্দেশ্য।
♦ সুইজারল্যান্ড- ফ্রান্স সীমান্তের আল্পস পর্বতমালার ভূ-গর্ভের ২৭ কিলোমিটারের একটি বৃত্তাকার টানেলে এ পরীক্ষা চালানো হয়।
♦ বিগ ব্যাং পরীক্ষা তত্ত্ববধানে ছিল ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর নিউক্লিয়অস রিসার্চ →( CERN)

 

সৌর জগত

♦ সীমাহীন মহাকাশে সুবিশাল সুবিশাল মহাজগতের একটি ক্ষুদ্র অংশ সৌরজগত।
♦ এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা ধারণা লাভ করেছে ৫০০ কোটি সৌর জগতের।
♦ পৃথিবী থেকে নক্ষত্র বা নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রের দূরত্ব মাপতে ব্যবহার করা হয় আলোক বর্ষ।
♦ পৃথিবীর নিকটতম ও পৃথিবী থেকে ১৩ লক্ষ গুণ বড় নক্ষত্র সূর্য →একটি গ্যাসিও পিণ্ড প্রধানত হাইড্রোজেন গ্যাস ৫৫% ও হিলিয়াম গ্যাস ৪৪%) দ্বারা গঠিত।
♦ সৌরজগতের গ্রহের সংখ্যা ৮টি →বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন)।
♦ সৌর জগতের গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে – প্লুটোকে।
♦ সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড।
♦ সৌরজগতের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টরাই →৩৮ লাখ কোট কি.মি. পৃথিবী থেকে দূরে)।
♦ বৃহত্তম নক্ষত্র মন্ডলের নাম হাইড্রা।
♦ আকাশে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র লুব্ধক।
♦ ধ্র“ব তারা দেখা যায় উত্তর গোলার্ধে।
♦ আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ মাইল।
♦ সপ্তর্ষি মণ্ডল → (Great Bear) কালপুরুষ →( Orign) ক্যাসিওপিয়া→ ( Cassiopeia) লুঘুপ্তষি Little Bear বৃহৎ কক্কুর মন্ডল →ঈধরহং সধলড়ৎ) প্রভৃতি নক্ষত্র মন্ডল।
♦ নীহারিকা থেকে – নক্ষত্রের উৎপত্তি।
♦ শক্তিশালী দুরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে মহাশূন্যে ভাসমান আলোকময় বা কালো মেঘের ন্যায় যে বাস্পীয় জ্যোতিষ্ক দেখা যায় তা হলো- নীহারিকা।
♦ সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থান করছে- সূর্য।
♦ পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব – ১৫ কোটি কি:মি: →১৫০ মিলিয়ন কি:মি:)
♦ বৃহৎ বৃত্তাকার পথে সূর্য – একবার আপন গ্যালাক্সির চর্তুদিকে পরিক্রমণ করে প্রায় ২০ কোটি বছরের ব্যবধানে।
♦ সৌরজগতের সবচেয়ে ক্ষুদ্র ও সূর্যের নিকটতম গ্রহ- বুধ।
♦ পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ শুক্র।
♦ শুক্র গ্রহকে- ভোরবেলায় “শুকতারা” এক সন্ধাবেলায় “সন্ধ্যাতারা” বলা হয়।
♦ বুধ ও শুক্র গ্রহের কোন উপগ্রহ নাই।
♦ শুক্রগ্রহের বায়ুমন্ডলের অধিকাংশই – কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস পূর্ণ
♦ সৌরজগতের একমাত্র আদর্শ গ্রহ পৃথিবী।
♦ পৃথিবী আবর্তন করে – পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে।
♦ পৃথিবীর অন্ধকারাচ্ছন্ন ও আলোকচ্ছন্নের মধ্যবর্তী অংশকে বলে- ছায়াবৃত্ত।
♦ পৃথিবীর পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্র – ১৩.৯০ সে:
♦ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ- চন্দ্র →পৃথিবী থেকে চন্দ্রের দূরত্ব ৩,৮৪,৪০০ কি:মি:)
♦ চন্দ্র দিনে পৃথিবীকে একবার আবর্তন করে।
♦ পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের আকাশ যথাক্রমে নীল ও গোলাপী।
♦ মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠের রং – লাল।
♦ রোমান যুদ্ধ দেবতা →( Mars) মারস এর নামানুসারে – মঙ্গল গ্রহের নামকরণ করা হয়।
♦ মঙ্গল গ্রহের বায়ুমন্ডলের ৯৯ ভাগই=→CO2) কার্বন ডাই অক্সাইড।
♦ মঙ্গল গ্রহের সর্বোচ্চ স্থানের নাম- আলিম্পাস মানস।
♦ ‘ফোবসা’ ও ‘ডিমোস’ মঙ্গল গ্রহের দুটি উপগ্রহ
♦ মঙ্গল গ্রহ পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটে আসে – ২৭ আগষ্ট ২০০৩ →৬০,০০০ বছর পর আবার এ অবস্থায় আসবে)।
♦ মঙ্গলগ্রহের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের জন্য- প্রেরিত পাথ ফাইন্ডার মঙ্গল গ্রহে প্রবেশ করে ৮ঠা জুলাই ১৯৯৭ এবং ব্যবহৃত রোবোটের নাম “সোজারনার”।
♦ গ্রহরাজ বলা হয়- বৃহস্পতিকে →উপগ্রহের সংখ্যা ১৬ টি। এদের মধ্যে লেঅ, ইউরোপা, গ্যানিমেড ও ক্যালিস্টো প্রধান)।
♦ যে গ্রহে দুইবার সূর্য উদয় ও অস্ত যায় – বৃহস্পতিতে।
♦ বলয় যুক্ত গ্রহ বলা হয় শনি গ্রহকে।
♦ শনি গ্রহের উপগ্রহের সংখ্যা ৫৬টি →টাইটান, হুয়া, ডাইওন ক্যাপিটাস ও টেথিস প্রভৃতি, উপগ্রহ অনেকের মতে ২৫টি।
♦ শনি গ্রহের সতর্বাপেক্ষ বড় উপগ্রহ- টাইটান।
♦ সৌর জগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ-ইউরেনাস →১৭৮৯ সালে আবি®কৃত হয়)।
♦ সৌরজগতের বামন গ্রহের সংখ্যা ৩টি →প্লুটো, এরিস, সেরেস)।
♦ ফিনিক্স নাসার অনুসন্ধানী যান যা ডেলটা ২ রকেটের সাহায্যে মঙ্গলে পাড়ি জমা এবং ২৬ মে ২০০৮ সাফল্যের সঙ্গে লোহিত গ্রহ মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে। যার মূল উদ্দেশ্য মঙ্গল গ্রহে পানির সন্ধান করা।
♦ ভারত প্রথম চন্দ্র অভিযান শুরু করে ২২ অক্টোবর ২০০৮, চন্দ্রযান ১ নামে, ১৪ নভেম্বর ২০০৮ সফলভাবে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে। অনুসন্ধানী রোবটযান “আদিত্য” সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে ছবি পাঠানো শুরু করে।

 

ধুমকেতু, উল্কা, গ্রহ, উপগ্রহ, ছায়াপথ, নীহারিকা

♦ ধূমকেতু উজ্জল মস্তক বিশিষ্ট একটি জ্যোতিষ্ক যার পশ্চাতে লক্ষ লক্ষ কিলোমিটার দীর্ঘ উজ্জল বাষ্পময় বা ধুলিকণাময় গুচ্ছ থাকে।
♦ হ্যালির ধূমকেতু আবিষ্কার করেন এডমন্ড হ্যালি।
♦ ধূমকেতুর অর্থ “ধূয়ার নিশানা”
♦ গত শতাব্দীর উজ্জ্বলতম ধূমকেতু- হেলবপ।
♦ হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়- ৭৬ বছর অন্তর।
♦ সর্বশেষ আবি®কৃত ধূমকেতু- নিট।
♦ রাতের আকাশে ধাবমান জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডের নাম- উল্কা।
♦ ভূ-পৃষ্ঠের ৯৭ কি:মি: এর মধ্যে পৌছালে উল্কা প্রজ্জলিত ও ভষ্মিভূত হয়ে যায়।
♦ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোটি কোটি নক্ষত্রের সমষ্টিকে- ছায়াপথ বলে।
♦ আকাশ গঙ্গা, স্বর্প গঙ্গা প্রভৃতি ছায়াপথের অপর নাম।
♦ আমাদের ছায়াপথের নাম মিল্কি ওয়ে।
♦ মিল্কিওয়ের বাইরে সর্বপ্রথম ছায়াপথের সন্ধান দেন এডউইন হাবল
♦ আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রমে করে তাকে আলোকবর্ষ →( Light Year) বলে।
♦ সৌজগতের সবচেয়ে নিকটবর্তী নক্ষত্রের নাম প্রক্সিমা সেন্টারই।
♦ খালি চোখে ৬০০০ নক্ষত্র দেখা যায়।
♦ ধ্র“বতারার আলো পৃথিবীতে পৌছাতে সময় লাগে ৪৭ বছর।
♦ শান্ত সাগর চাঁদে অবস্থিত।
♦ International Astronomical Union (IUAU) এর সদরদপ্তর- প্রাগ, চেকপ্রজাতন্ত্র।
♦ নভোযানের দিক নির্ণয়ের জন্য ক্যানোপাস নক্ষত্রটি ব্যবহৃত হয়।
♦ সূর্যের কৌণিক উন্নতি মাপার যন্ত্র- সেক্সটেন্ট।

 

অক্ষরেখা, দ্রাঘিমা রেখা ও পৃথিবীর গতি

♦ পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে- দ্রাঘিমা বা মেরু বলে।
♦ দ্ইু মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে একটি রেখা কল্পনা করা হয়েছে যাকে নিরক্ষরেখা/বিষুব রেখা/মহাবৃত্ত রেখা বলে।
♦ পৃথিবীর বৃত্তের কেন্দ্রের উৎপন্ন কোণ ৩৬০০।
♦ নিরক্ষ রেখা থেকে প্রত্যেক মেরুর কৌণিক দূরত্ব ৯০০।
♦ উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে যথাক্রমে- কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি বলে, উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশকে যথাক্রমে- সুমেরু ও কুমেরু বৃত্ত বলে।
♦ যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের উপকণ্ঠে গ্রীনিচ শহরের ওপর দিয়ে উত্তর দক্ষিণে বিস্তৃত রেখাকে- মূল মধ্য রেখা বা গ্রীনিচ রেখা বলে।
♦ আকাশে সূর্যের অবস্থান দেখে যে সময় নির্ণয় করা হয় তাকে- স্থানীয় সময় বলে।
♦ সেক্সটেন্ট যন্ত্রের সাহাযে স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায়।
♦ সেক্সটেন্ট যন্ত্রের সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় করা হয়।
♦ বাংলাদেশের প্রমাণ সতদময় গ্রীনিচ সময়ের ৬ ঘন্টা অগ্রবর্তী।
♦ কল্পিত ১৮০০ পূর্ব ও পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখাটিই আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার মূল ভিত্তি।
♦ পৃথিবীর আহ্নিক গতি প্রমাণ করেন- ফরাসি বিজ্ঞানী ‘ফুকো’ দোলকের সাহায্যে ১৮৫১ সালে।
♦ দিবা রাত্রি ও ঋতু পরিবর্তন করা যথাক্রমে আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির কারণে।
♦ পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান-২১ শে মার্চ ও ২৩শে সেপ্টেম্বর।
♦ উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড় ও ছোট দিন যথাক্রমে ২১শে জুন ও ২২ ডিসেম্বর।
♦ বায়ু প্রবাহ ও সমুদ্র স্রোত উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়- সূত্রটি ফেরেলের।
♦ আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করেছে বিষুব রেখা।
♦ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাস করে উত্তর গোলার্ধে
♦ অনুসূর ও অপসূর যথাক্রমে-১লা জানুয়ারি ও ৪ঠা জুলাই।
♦ ৪০০ দক্ষিণ থেকে ৪৭০ দক্ষিণ অক্ষাংশকে গর্জনশীল চল্লিশ বলে।
♦ দক্ষিণ গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন ও ক্ষুদ্রতম রাত-২২ শে ডিসেম্বর।
♦ জোয়ার ভাঁটা সৃষ্টি হয়-আহ্নিক গতির কারণে।

 

মহাকাশ ও মহাকাশ গবেষণা

♦ মহাকাশ তত্ত্বের আবিষ্কারক স্যার আইজ্যাক নিউটন।
♦ যে আবিষ্কারের ফরে মহাকাশ যাত্রায় মানুষ প্রথম সাফল্য লাভ করে- রকেট →১৯৮২৬ সালের ড. রবার্ট হ্যাচিং গভার্ড →USA ) রকেট আবিষ্কার করেন।
♦ উপগ্রহ দুই প্রকার কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক।
♦ প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ: স্ফুটনিক-১, ৪ অক্টোবর ১৯৫৭, থেকে ৪ জানয়ারি ১৯৫৮ →রাশিয়া কর্তৃক)
♦ মহাকাশে প্রথম প্রাণীঃ লাইকা, ১৯৫৮ সালের ৩ অক্টোবর মহাকাশে পাঠানো হয়। →লাইকা পৃথিবীতে ফিরে আসেনি) স্ফুটনিক-২ এর সাহায্যে।
♦ মহাকাশে প্রথম মানুষঃ রুশ নভোচারী ইউরি গ্যাগারিন ভোস্তক-১ এ চহড়ে ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেন।
♦ মহাশূন্যে প্রথম মহিলা নভোচারীঃ ভেলেন্টিনা তেরেশকোভা →রুশ) ৬ জুন ১৯৬৩ তিনি মহাকাশে গমন করেন ভোস্টক-৬ নামক মিশনে ২ দিন ২২ ঘন্টা ৫০ মিনিট মহাকাশ ভ্রমাণ করেন।
♦ সর্বপ্রথম চাঁদ প্রদক্ষিণ করেনঃ ফ্রাঙ্ক বোর ম্যান, জেমস লোভেন, ও উইলিয়াম এন্ডারসন →USA) অপোলো-৮ এ চড়ে ১৯৬৮ সালের ২১ ডিসেম্বর।
♦ মানুষ প্রথম চন্দ্রপৃষ্ঠে আরোহণ করে-২১ জুলাই ১৯৬৯ →এপোলো-১১ তে চড়ে)।
♦ মহাকাশ অভিযাত্রী দলের প্রথম মহিলা নেতাঃ এলিন কলিন্স, ২৩ জুলাই ১৯৯৮ মিস এলিনের নেতৃত্বে স্পেস-শাটল কমম্বিয়া মহাশূন্যে প্রেরণ করা হয়।
♦ NASA=National Aeronatics and Space Administration U.S.A  এর ফ্লোরিডার কেপকেনেডি মহাকাশ উৎক্ষেপন কেন্দ্র। এর সদর দপ্তর ওয়াশিংটন। নাসা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৮ সালে। NASA এর প্রধান চার্লস বোল্ডন।
♦ ভ্যানগার্ড-১ এটি ছিল সর্বকালের ক্ষুদ্রতম উপগ্রহ ওজন ছিল মাত্র ৩ পাউন্ড।
♦ ক্যাসিনিঃ শনি গ্রহে নিক্ষিপ্ত মার্কিন মহাকাশ যান →দূর আকাশে পাঠানো সবচেয়ে বড় নভোযান; ১৩ অক্টোবর ১৯৯৭ সালে প্রেরণ করা হয়)।
♦ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ চীনের প্রথম নভোচারী হিসাবে মহাকাশে হেটে বেড়ান ঝাই ঝিগ্যাং।
♦ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে প্রথম ইউরোপীয় যান “জুলভার্ন” মহাকাশ স্টেশনে সফলভাবে ভিড়তে সক্ষম হয় ৩ এপ্রি“ল ২০০৮।
♦ “অমিড হোপ” উপগ্রহটি ইরান উৎক্ষেপন করে ২ ফেব্র“য়ারি ২০০৯।
♦ মহাকাশে প্রেরিত প্রথম মার্কিন যান-এক্সপ্লোয়ারার ১, প্রেরিত হয় ৩১ জানুয়ারি ১৯৫৮।
♦ মহাকাশে প্রথম মার্কিন নভোচারীঃ গ্লেন, ১৯৬২ সালে তিনি মহাকাশ গমন করেন।
♦ চাঁদের বুকে পানির সন্ধানে প্রেরিত যান-লুনার প্রস্পেক্টর।
♦ মহাকাশে ষষ্ঠ পর্যটক রিচার্ড গ্যারিয়ট, ১২-১৮ অক্টেবর ২০০৮ তিনি রুশ নভোচারী ইউরি লোনচার্কড ও মার্কিন নভোচারী মাইকেল পিঞ্চকের সাথে করে ভ্রমাণ করেন।
মহাকাশ যান কলম্বিয়া
♦ কলম্বিয়া বিধ্বস্ত হয়: ১লা ফেব্র“য়ারি ২০০৩ টেক্সাসের আকাশে ভূ-পৃষ্ঠের অবতরণের মাত্র ১৫ মিনিট আগে।
♦ ৭ জন নভোচারীর মধ্যে-৫ জন আমেরিকান, ১ জন ভারতীয় ও ১ জন ইসরাইলী।
♦ ভারতীয় ও ইসরাইলী নভোচারী যথাক্রমে কল্পনা চাওলা →হরিয়ান) ও কর্নেল ইলান রেমন।
♦ মহাশূন্যে প্রথম মুসলিম নভোচারী-শাহজাদা সুলতান সালমান বিন আবদুল আজিজ।
মহাকাশ স্টেশন ‘মির’
♦ মির রাশিয়ার মহাকাশ স্টেশন যা মহাকাশে স্থাপিত হয়-২০ ফেব্র“য়ারি ১৯৮৬ সালে।
♦ মির ধ্বংস হয় ২৩ মার্চ, ২০০১, গ্রিনিচ সময় ভোর ৬ টায়।

 

মহাকাশ উৎক্ষেপন কেন্দ্র ‘বাইকনুর’

♦ বাইকনুর কেন্দ্রটি নির্মিত হয়ঃ ১৯৫০ সালে
♦ বাইকনুর কেন্দ্রটি অবস্থিত- কাজাখস্তানে। আয়তনে বৃহত্তম মুসলিম দেশ।
♦ রাশিয়া এটি ব্যবহার করতে পারবে ২০১১ সাল পর্যন্ত।

বিবিধ

♦ চন্দ্রযান-১ : ভারত কর্তৃক পানির অনুসন্ধানে প্রেরিত প্রথম মনুষ্যবিহীন যান।
♦ ISRO: ভারতের মহাকাশ উৎক্ষেপন কেন্দ্র।
♦ স্কাইল্যাবঃ যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক স্থাপিত একট মহাকাশ স্টেশন ১৪ই মে ১৯৭২ স্থাপিত হয়।
♦ জিউকুয়ানঃ চীনের মহাকাশ উৎক্ষেপন কেন্দ্র
♦ উচিনোরী ঃ জাপান মহাকাশযান উৎক্ষেপন কেন্দ্র।
♦ ২০০৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচটি দেশ ও একটি চাঁদে অভিযান চালায়, দেশগুলো হচ্ছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, চীন ও ভারত ও সংস্থাটি হলো ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা।
♦ International Space Station (ISS) ঃ রাশিয়ার →১৯৯৮ সালে উৎক্ষেপিত)
♦ হাবল টেলিস্কোপ মহাশূন্যে প্রেরিত হয়ঃ ১৯৯০ সালে
♦ মারসঃ মঙ্গল গ্রহে প্রেরিত মনুষ্যবিহীন নভোযান।
♦ চীন প্রথম মহাশূন্যে মানুষ পাঠায় ১৫/০২/০৩ ইং
♦ শেনঝোউ-৫ চীন কর্তৃক প্রেরিত একটি মহাকাশযান

Geography-1

♦ ইরানি বংশোদ্ভত মার্কিন নাগরিক আনুশেহ আনসারী একাধারে বিশ্বের প্রথম নারী, প্রথম ইরানিয়ান বংশোদ্ভূত, বিশ্বের চতুর্থ এবং প্রথম মুসলিম মহাকাশ পর্যটক। তিনি সয়ুজ রকেট টি এম এ-৯ করে তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (ওঝঝ) যান।

♦  এ পর্যন্ত সকল মহাকাশ পর্যটকগণ বাইকনুর মহাকাম উৎক্ষেপন কেন্দ্র ব্যবহার করেছেন।

♦  যুক্তরাষ্ট্রের চার্লস সিমোনি প্রথম পর্যটক হিসাবে দ্বিতীয়বারের মতো মহাকাশ ঘুরে এলেন ৮ এপ্রি“ল ২০০৯।

Share on

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × four =