১১. মডেম (Modem) শব্দের কি?
উত্তর : মডেম (Modem) শব্দের পূর্ণরূপ হলাে Modulator and Demodulator। যে যন্ত্র কম্পিউটারের ভাষাকে (ডিজিটাল) টেলিফোনের ভাষায় (এনালগ) এবং টেলিফোনের ভাষাকে কম্পিউটারের ভাষায় রূপান্তরিত করে তাকে বলে মডেম।
১২. Wi-MAX প্রযুক্তি কি?
উত্তর : Wi-MAX শব্দটির পুরাে অর্থ হলাে Worldwide Interoperability for Microwave Access অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ ব্যবহারের সাধারণ বিনিময়যােগ্য পদ্ধতি। Wi-MAX হলাে এক প্রকার টেলিযােগাযােগ প্রটোকল, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত নিয়মে সম্পূর্ণ মােবাইল ইন্টারনেট অ্যাকসেস করা যায়। বর্তমানে Wi-MAX-এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ 75 Mbit/s রেটে ইন্টারনেট অ্যাকসেস করা সম্ভব এবং যা IEEE 802.16m প্রযুক্তি দ্বারা সমর্থিত। এর ইন্টারনেট অ্যাকসেস স্পিড 1Gbit/s এ উন্নীত করা হয়েছে। এজন্য WiMAX প্রযুক্তিকে বলা হয় 4G বা Fourth Generation ওয়ারলেস । টেলিকমিউনিকেশন টেকনােলজি। ১০-৬০ কিমি এলাকায় Wi-Fi Local Area Network ব্যবহার করে Wi-MAX সুবিধা প্রদান করা হয়। WiMAX Forum নামে প্রযুক্তিবিদদের একটি সংগঠন Wi-MAX প্রযুক্তির বিভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করে থাকে। :
১৩. Wi-Fi কী? এর সুবিধা কি কি?
উত্তর : WiFi-হলাে তারবিহীন ইন্টারনেট প্রযুক্তি (Wireless Fidelity থেকে WiFi শব্দের উৎপত্তি)। এ প্রযুক্তির সুবিধা হলাে তারবিহীন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যায়। যেখানে সহজে ইন্টারনেট দেওয়া সম্ভব হয় না সেখানে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই ইন্টারনেট সংযােগ দেওয়া যায়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কেউ চাইলে রান্না ঘরে বসে কিংবা বাগানে ঘােরার সময়ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।
১৪. Wi-MAX-এর পূর্ণরূপ কি? এটি কোন প্রকারের প্রযুক্তি?
উত্তর : Wi-MAX প্রযুক্তি ইন্টারনেটের একটি তারবিহীন প্রযুক্তি। Wimax-এর পূর্ণরূপ হলাে Worldwide Interoperability for Microwave Access। Wi-MAX প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা ইন্টারনেট সুবিধা পেয়ে থাকি। যেসব এলাকায় ইন্টারনেট এর তার পৌছানাে সম্ভব নয়, সেসব এলাকাতে Wi-MAX ব্যবহার করা যায়।
১৫. Hot Spot কি? তিনটি জনপ্রিয় Hot Spot এর নাম লিখুন।
উত্তর : হট স্পট (Hot spot) হলাে এক ধরনের ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক যা মােবাইল কম্পিউটার ও ডিভাইস যেমন— স্মার্ট ফোন, পিডিএ, ট্যাব, নেটবুক, নােটবুক বা ল্যাপটপ ইত্যাদিতে ইন্টারনেট সংযােগ সরবরাহ করে। বর্তমানে জনপ্রিয় তিনটি হট স্পট প্রযুক্তি হলাে— i. ওয়াই-ম্যাক্স (Wi-MAX); ii. ওয়াই-ফাই (Wi-Fi); iii. ব্লু-টুথ (Bluetooth)।
১৬. তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি কি?
উত্তর : তথ্যপ্রযুক্তি বলতে সাধারণত তথ্য রাখা এবং একে ব্যবহার করার। প্রযুক্তিকেই বােঝানাে হয়। একে ইনফরমেশন টেকনােলজি বা আইটি (Information Technology – IT) নামে অভিহিত করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি মূলত একটি সমন্বিত প্রযুক্তি যা যােগাযােগ, টেলিযােগাযােগ, অডিও ভিডিও, কমপিউটিং, সম্প্রচারসহ আরাে বহুবিধ প্রযুক্তির সম্মিলনে দীর্ঘদিন ধরে চর্চার ফলে সমৃদ্ধি লাভ করে তথ্যপ্রযুক্তি রূপে আবির্ভূত হয়েছে। সার্বিকভাবে বলতে গেলে কম্পিউটার এবং টেলিযােগাযােগ ব্যবস্থার মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ, একত্রকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিনিময় বা পরিবেশনের মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স ব্যবস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
১৭. ভয়েস প্রসেসিং (Voice Processing) কি?
উত্তর : ভয়েস প্রসেসিং হলাে কণ্ঠস্বর থেকে সৃষ্ট ডেটা সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রয়ােজনে তা অন্য স্থানে প্রেরণ। এ পদ্ধতিকে, ভয়েস মেইলও বলা হয়, যা মৌখিক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সচেঞ্জ বিশেষ। কণ্ঠস্বর সংরক্ষণ ও প্রেরণ পদ্ধতি অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা, যা বর্তমানে অফিসের একস্থান থেকে । অন্যস্থানে ভয়েস স্থানান্তরের জন্য টেলিফোনের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহৃত। হচ্ছে। এতে গ্রাহক প্রান্তে একটি মেইলবক্স থাকে। কোনাে প্রেরক যখন কোনাে টেলিফোন করেন, তখন ভয়েস অ্যানালগ সিগন্যাল থেকে ডিজিটাল সিগন্যালে। রূপান্তরিত হয়। পরে এ সংবাদ গিয়ে ভয়েস মেইলবক্সে জমা থাকে। অবসর সময়ে কিংবা প্রয়ােজন হলে যখন গ্রাহক ভয়েস মেইলবক্সে ডায়াল করেন তখন সংবাদটি ডিজিটাল থেকে অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তরিত হয়। এভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সংবাদ প্রেরিত হয় এবং এ পুরাে প্রক্রিয়াকে বলে ভয়েস প্রসেসিং।
১৮. ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলাে সবিস্তারে বর্ণনা করুন।
উত্তর : ইন্টারনেট : INTERNET-এর পূর্ণরূপ International Network বা Interconnected Networks। ইন্টারনেট পৃথিবী বিস্তৃত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। এটি অসংখ্য নেটওয়ার্কের সংযােগে তৈরি নেটওয়ার্ক। আরপানেট (ARPANET) দিয়ে ইন্টারনেটের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ একটি গবেষণা প্রকল্পের আওতায় দেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে পরীক্ষামূলক কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত করে। এ নেটওয়ার্কের নাম আরপানেট।
১৯৮২ সালে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযােগের উপযােগী টিসিপি/আইপি (TCP/IP : Transmission Control Protocol/Internet Protocol) প্রােটোকল উদ্ভাবনের সাথে ইন্টারনেট শব্দটি চালু হয়। ১৯৮৩ সালের আরপানেটে টিসিপি/আইপি প্রােটোকল ব্যবহার শুরু হয়। এরপর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যায়। ১৯৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন নেটওয়ার্ক (NSFNET) প্রতিষ্ঠার ফলে আরপানেটের প্রভাব কমে যায় এবং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক উন্নয়নে শরীক হয়। অবশেষে ১৯৯০ সালে আরপানেটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং এটি ইন্টারনেট নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৮৯ সালে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (বা. সার্ভিক্স প্রােভাইডার) চালুর ফলে সকলের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযােগ সৃষ্টি হয়।
ইন্টারনেটের সুবিধাবলি নিচে আলােচনা করা হলাে :বিশাল তথ্যসম্ভার : ইন্টারনেট তথ্যের এক বিশাল ভাণ্ডার। ইন্টারনেট দিয়ে পৃথিবীব্যাপী ছড়ানাে-ছিটানাে অসংখ্য অনলাইন ডেটাবেস থেকে নানা রকম তথ্য | আহরণ সম্ভব। সর্বক্ষণিক যােগাযােগের জন্য এসব ডেটাবেসে সংরক্ষিত আছে। জার্নাল, ম্যাগাজিন, পুস্তক, খবরের কাগজ, নানা রকম পণ্যের বিজ্ঞাপন, বিমান,রেল ইত্যাদির সময়সূচি, আবহাওয়ার খবর, খেলার খবর, স্টক রিপাের্ট এবং আরও অনেক কিছু, যা সংক্ষেপে বর্ণনা প্রায় অসম্ভব। অবস্থা এমন যে, যে, কোনাে প্রকার তথ্যের জন্য ইন্টারনেটে যােগাযােগ করে নিরাশ হওয়ার কোনাে কারণ নেই। আর দিন দিন এ তথ্যের সমারােহ বেড়েই চলেছে।
ইলেক্ট্রনিক মেইল (e-mail) : যে কোনাে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তার যে কোনাে তথ্য অন্য কোনাে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে পাঠাতে পারে। ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য পাঠানাের কিছু সুবিধা রয়েছে। প্রথমত এর দ্রুতগতি, এটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে তথ্য পৌছে। দিতে পারে এবং তথ্য গ্রহীতা সে তথ্য গ্রহণ করতে পারে।
সফটওয়্যার: ইন্টারনেট থেকে অজস্র সফটওয়্যার ডাউনলােড করা যায় বিনা খরচে।
অনলাইন কেনাকাটা : ইন্টারনেট এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের এক বিশাল বিপণি। একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নানা ধরনের পণ্যদ্রব্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে অতি সহজে কেনা-কাটা করতে পারেন। অনলাইনের এ বাণিজ্যকে E-commerce বলে।
এছাড়া ইন্টারনেটে অনেক ধরনের সেবা পাওয়া যায়। সেগুলাে হলাে Telnet, FTP, IRC, Video Conferencing, I phone, Usenet, Archie, Gofer, Veronica & WAIS-সহ আরাে অনেক কিছু। তাছাড়াও নিত্যনতুন উদ্ভাবনের ফলে ইন্টারনেটের সুযােগ সুবিধা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারের অসুবিধা : ১. ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে অনেক সময় ব্যক্তিগত গােপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ২. ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে কাজ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে জনগণের মধ্যে অলসতা ও পরিশ্রমবিমুখতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৩. অনলাইন ব্যবস্থা চালু হওয়ায় অনেক সময় হ্যাকারদের সৃষ্ট সমস্যা ও অন্য কারণে গুরুত্বপূর্ণ দলিল, প্রয়ােজনীয় উপাত্ত বিনষ্ট হয়ে গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করছে। ৪. ব্যবহারকারীর নানা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, ডেটা অবাঞ্ছিত ভাইরাস প্রােগ্রামে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যায়। ৫. উন্মুক্ত যােগাযােগের কারণে কম বয়সী তরুণ-তরুণীদের মাঝে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে।
১৯. ই-মেইল কি? এটা কিভাবে কাজ করে?
উত্তর : ইলেকট্রনিক মেইল বা সংক্ষেপে ই-মেইল (E-mail) হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থা। এ যন্ত্রটি নীতিগতভাবে ফ্যাক্স যন্ত্রের মতাে কাজ করে। এটি কম্পিউটার, মডেম, মডুলেটর এবং স্যাটেলাইটের একটি সমন্বিত ব্যবস্থা। ই-মেইল দ্বারা স্বল্প খরচে দ্রুত সংবাদ প্রেরণ করা যায় এবং দীর্ঘ বার্তা প্রেরণে ই-মেইল খুবই সুবিধাজনক।
২০. কিভাবে ই-মেইল চেক করা হয়? কিভাবে ই-মেইল পড়া যাবে এবং কিভাবে ই-মেইল মােছা যাবে?
উত্তর : ই-মেইল চেক করার নিয়ম : ই-মেইল এসেছে কিনা তা চেক করার নিয়মগুলাে নিচে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করা হলাে :
১. ই-মেইল চেক করার জন্য প্রথমেই ইন্টারনেট সংযােগ চালু করতে হবে।
২. Internet Explorer অথবা Mozilla Firefox কিংবা অন্য কোনাে Web Browser ব্যবহার করে ইন্টারনেট এড্রেসে E-mail সার্ভারের ঠিকানা লিখে সেই E-mail সার্ভারের Login page এ যেতে হবে।
৩. Login page এ ই-মেইল ব্যবহারকারী নিজের Email Account ID এবং Passwords টাইপ করে Login বাটনে ক্লিক করলে Mail Server এ প্রবেশ করতে পারবেন।
৪. Mail Server এ নিজের E-mail Page এ যেসব Mail এসেছে সেগুলাে তালিকা আকারে সাজানাে থাকে। এই Mail তালিকা থেকে যে কোনাে ই মেইলের উপর ক্লিক করে সংশ্লিষ্ট মেইলটি চেক করা যাবে।
ই-মেইল পড়ার নিয়ম : ই-মেইল পড়ার জন্য Mail Server এ Login করে Inbox এ ক্লিক করলে আগত E-mail গুলাের একটি তালিকা প্রদর্শিত হয়। এখন এসব Mail-এর তালিকা থেকে যে কোনাে একটি মেইলের উপর ক্লিক করলে অন্য একটি Page এ সংশ্লিষ্ট মেইলটি ওপেন হয়। এবার প্রদর্শিত Mail টি পড়া যায় ও ইচ্ছেমতাে Reply করা যায়।
ই-মেইল মােছার নিয়ম : ই-মেইল চেক করার জন্য Mail Server এ Login করার পর Inbox এ ক্লিক করলে যে ই-মেইলগুলাের তালিকা প্রদর্শিত হয়। সেগুলাের বামপাশে ছােট একটি Check Box থাকে। এই চেক বক্সে ক্লিক করে টিক চিহ্ন দিলে সংশ্লিষ্ট ই-মেইলটি Select হয়ে যায়। এখন এই সিলেক্ট করা ই-মেইলটি মুছতে হলে মেইল তালিকার উপরে Delete বাটনে ক্লিক করলে সংশ্লিষ্ট Mail টি তালিকা থেকে তথা Inbox থেকে মুছে যায়।
২১. www (world wide web) সম্বন্ধে সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সংক্ষেপে Www নামে পরিচিত। www হলাে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা Web Page, এই Web Page পরিদর্শন করাকে Web Browsing বলে। www ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হাজার হাজার কম্পিউটারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ডকুমেন্ট (Linked document) ব্যবহারকারীর গ্রহণ উপযােগী হিসেবে। উপস্থাপনের কাঠামাে। এটি পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত শত শত সার্ভারের শ্ৰেণীবদ্ধগত রূপ। www-এর সূচনা হয়েছে ১৯৮৯ সালে ECNR (The European Centre for Nuclear Research)-এ।
১৯৯৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে Mosaic নামক গ্রাফিক্যাল Web Browser আবিষ্কারের এক বছর পর www-এর বহুল প্রচলন শুরু হয়। Web Browsing করার জন্য বিভিন্ন প্রনের সফটওয়্যার রয়েছে। এর মধ্যে জনপ্রিয়। Web Browsing সফটওয়্যার হচ্ছে নেস্কটেপ ও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার।
Web Browsing-এর জন্য http বা hypér text transfer protocol ব্যবহৃত হয়। Web Browsing সফটওয়্যারে ব্যবহৃত বিভিন্ন শব্দ নিচে দেয়া হলাে : http: hyper text transfer protocol. URL: Uniform Resource Locator. Web Page: সার্ভারে রাখা ফাইল। Home Page: কোনাে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নিজস্ব Web Page. Search:কোনাে কিছু খোজাই Search. Bookmark: Bookmark হচ্ছে একটি Web Page-এর লিস্ট। Reload/Refresh : যে Web Page-এর ডেটা অনবরত পরিবর্তন হয়, সেসব Web Page পড়ার সময় মাঝে কোনাে পরিবর্তন হয়েছে কিনা তা জানার কমান্ড। Stop:ডাউনলােড বন্ধ করার কমান্ড।
২২. স্যাটেলাইট কি? এটা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর : স্যাটেলাইট : উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট বলতে বুঝানাে হয় কোনাে গ্রহের চারদিকে ঘূর্ণায়মান কোনাে প্রাকৃতিক বস্তুকে। তবে বর্তমান যুগে স্যাটেলাইট হলাে মনুষ্য নির্মিত নির্দিষ্ট কাজের উপযােগী এক প্রকার যন্ত্র যা রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করে পৃথিবীর অর্বিটালে বা কক্ষপথে স্থাপন করা হয়।.
তিন স্তরের রকেটের সাহায্যে কৃত্রিম উপগ্রহকে নির্দিষ্ট উচ্চতায় তুলে পরে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে নির্দিষ্ট বেগ দেয়া হয়। এতে উপগ্রহটি পৃথিবীর চারপাশে কৃত্রিম চাদের মতাে ঘুরতে থাকে। এসব স্যাটেলাইট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দেশ গ্রহণ করে। সে অনুপাতে কাজ করে পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে তথ্য প্রেরণ করে। স্যাটেলাইটের প্রকারভেদ : কাজের উপর ভিত্তি করে স্যাটেলাইটকে নয় ভাগে ভাগ। করা যায়।
যথা : ১. নভেপর্যবেক্ষণ বা এস্ট্রোনমি স্যাটেলাইট; ২. এটমসফিয়ারিক, স্যাটেলাইট; ৩. কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট; ৪. নেভিগেশন স্যাটেলাইট; ৫. রিকনাইসেন্স স্যাটেলাইট; ৬. রিমােট সেনসিং স্যাটেলাইট; ৭. সার্চ ও রেসকিউ স্যাটেলাইট; ৮. স্পেস এক্সপ্লোরেশন স্যাটেলাইট; ৯. ওয়েদার স্যাটেলাইট।
২৩. সাবমেরিন ক্যাবল কি? এর কাজ কি?
উত্তর : সাবমেরিন ক্যাবল : সাবমেরিন ক্যাবল হলাে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে। একদেশ থেকে অন্য দেশে টেলিযােগাযােগের জন্য স্থাপিত ক্যাবল বা তার। মূলত সাবমেরিন ক্যাবলে অনেকগুলাে যােগাযােগ ক্যাবল এক সাথে বান্ডেল আকারে এক দেশের ল্যান্ডিং স্টেশনের সাথে অন্য দেশের ল্যান্ডিং স্টেশনকে যুক্ত করে।
সর্বপ্রথম যে সাবমেরিন ক্যাবল ইংলিশ চ্যানেলে স্থাপন করা হয়েছিল । ছিল মূলত টেলিগ্রাফিক ক্যাবল। পরবর্তীতে সাবমেরিন ক্যাবল টি টেলিযােগাযােগ সংযােগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে এবং বর্তমানে ডেট কমিউনিকেশন তথা ইন্টারনেট সংযােগ ব্যবস্থায় সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবজন হচ্ছে। বর্তমানে সকল সাবমেরিন ক্যাবলে অপটিক্যাল ফাইবার .. ব্যবহার করে আলাের গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়। এসব ক. সাধারণত ৬৯ মিলিমিটার ব্যাস এবং প্রতি মিটারে ১০ কেজি র বিশিষ্ট।
সাবমেরিন ক্যাবলের কাজ : ১. দুটি দেশের বা স্থানের ল্যান্ডিং স্টেশনের মধ্যে সংযােগ স্থাপন করে। ২. আন্তর্জাতিক টেলিযােগাযােগ ব্যবস্থায় মেরুদণ্ড (Backbone) হিসেবে কাজ করে। ৩. ডেটা কমিউনিকেশন তথা ইন্টারনেট যােগাযােগ ব্যবস্থা গড়ে তুলে। ৪. আলাের গতিতে অতি সহজে তথ্য আদান-প্রদান করে। ৫. পরিবেশ সহায়ক প্রযুক্তি তাই অন্যান্য প্রযুক্তির চেয়ে বেশি পরিবেশ | বান্ধবভাবে যােগাযােগ রক্ষা করে।
২৪. ফ্যাক্স কি? ফ্যাক্সের ব্যবহার ও কার্যপদ্ধতি আলােচনা করুন।
উত্তর : ফ্যাক্স (Fax) একটি সংক্ষিপ্ত ইংরেজি শব্দ, যার পূর্ণ অর্থ হলাে। ফ্যাক্সিমিলি (Faxcimile)। ফ্যাক্স হচ্ছে একটি যন্ত্র, যার দ্বারা লিখিত বক্তব্য একস্থান থেকে অন্যস্থানে পৌঁছানাে হয়। ফ্যাক্সের পাঠক যন্ত্রে লিখিত বক্তব্য স্থাপন করলে তা ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিচ্ছবিতে পরিণত হয় এবং প্রচার যন্ত্রের মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে পাঠানাে হয়। গ্রাহক যন্ত্র এ বক্তব্য গ্রহণ করে পূর্ববৎ করে প্রিন্টারের সাহায্যে অবিকলভাবে প্রকাশ করে, মাইক্রোওয়েভ এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এ সংবাদ আদান-প্রদান করা হয়।
ব্যবহার : লিখিত বক্তব্য একস্থান থেকে অন্যস্থানে দ্রুত প্রেরণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ছবি, ম্যাপ, ইত্যাদিও ফ্যাক্সের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। এর সাহায্যে টেলিফোন ও ফটোকপিও করা যায়। রেকর্ডার হিসেবেও এ যন্ত্র অনেক সময় ব্যবহৃত হয়। যেভাবে কাজ করে : লিখিত বক্তব্য পাঠক যন্ত্রে স্থাপন করলে তা ইলেকট্রিক যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিচ্ছবিতে পরিণত হয় এবং প্রচার যন্ত্রের। মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে পাঠানাে হয়। গ্রাহকযন্ত্র এ বক্তব্য পূর্ববৎ করে প্রিন্টারের সাহায্যে অবিকলভাবে প্রকাশ করে।
২৫. Facebook কি? Facebook-এর ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধাগুলাে আলােচনা করুন।
উত্তর : ফেসবুক হলাে সামাজিক যােগাযােগের (সােশ্যাল নেটওয়ার্কিং) একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এটি ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যাত্রা শুরু করে। মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা। এই জনপ্রিয় ওয়েবসাইটটি ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।
সুবিধা : ১. ফেসবুক বিশ্বের যে কোনাে প্রান্তের লােকজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
২. বিদেশে অবস্থানকারী আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে যােগাযােগ রক্ষার ক্ষেত্রে ফেসবুক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৩. ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য ফেসবুক একটি ভালাে মাধ্যম।
৪. ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ের উপর মতামত প্রদান, কিংবা | ব্যক্তিগত চিন্তা ভাবনা আদান-প্রদান করা যায়।
৫. বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা খবর ফেসবুকের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে সবার সাথে শেয়ার করা যায়।
অসুবিধা :
১. ফেসবুকে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় সৃষ্টি করে।
২. অফিস চলাকালীন সময়ে ফেসবুকের ব্যবহার কাজকর্মে ব্যাঘাত সৃষ্ট কম’
৩. ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে।
৪. ফেসবুকে অনেকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা করে।
৫. ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক সময় ব্যবহারকারীর ছবি বিকৃত ” অশ্লীলভাবে উপস্থাপন করা হয়।