কম্পিউটার প্রযুক্তির কিছু -(প্রথম অংশ

কম্পিউটার প্রযুক্তির কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর -(প্রথম অংশ)

কম্পিউটার প্রযুক্তির সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১. কম্পিউটারের প্রধান অংশসমূহ কি?  Primary ও Auxiliary Memory, Input ও Output device-গুলাের নাম লিখুন। 

উত্তর : আধুনিক কম্পিউটারের প্রধান সাংগঠনিক অংশগুলাে হলাে : 

১. ইনপুট ইউনিট, ২. অ্যারিথমেটিক লজিক ইউনিট বা গাণিতিক যুক্তি অংশ, ৩. কন্ট্রোল ইউনিট বা নিয়ন্ত্রণ অংশ, ৪. মেমােরি ও স্টোরেজ, ৫, আউটপুট ইউনিট। 

  • Primary Memory: প্রসেসিংয়ের জন্য প্রােগ্রাম ও ডেটাকে যে মেমােরি ইউনিটে সংরক্ষণ করা হয় বা অন্তবর্তীকালীন ফলাফলকে যে মেমােরিতে সংরক্ষণ করা হয় তাকে Primary Memory বলে। RAM হলাে। Primary Memory. 
  • Auxiliary Memory : স্থায়ীভাবে ডাটা সংরক্ষণের জন্য যে সহায়ক মেমােরি ব্যবহার করা হয় তাকে Auxiliary Memory বলে। কয়েকটি Auxiliary Memory হলাে- i. হার্ড ডিস্ক; ii. ফ্লপি ডিস্ক; iii. সিডি রম; iv. ডিভিডি রম ও v. পেন ড্রাইভ ইত্যাদি। 
  • ইনপুট ইউনিট : ইনপুট দিয়ে কম্পিউটারকে সমস্যা সমাধানের জন্য কাজের নির্দেশ ও নির্দেশ পালনের জন্য প্রয়ােজনীয় ডেটা দেয়া হয়। এ ইউনিটে বিশেষ মাধ্যম হতে ডেটা ও প্রােগ্রাম গ্রহণ করে বৈদ্যুতিক তরঙ্গে : রূপান্তরের পর কম্পিউটারের মেমরিতে সংরক্ষণ করে। 

কিছু ইনপুট ডিভাইস : ১. কী-বাের্ড, ২, মাউস, ৩. জয়স্টিক, ৪. স্ক্যানার, ৫, কার্ড। রিডার, ৬. ডিজিটাল ক্যামেরা ও ৭. মাইক্রোফোন ইত্যাদি। 

  • আউটপুট ইউনিট : আউটপুট ইউনিট প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল মানুষের অনুধাবনযােগ্যরূপে বিভিন্নভাবে উপস্থাপন করে। 

কিছু আউটপুট ডিভাইস : ১. মনিটর, ২. প্রিন্টার, ৩. প্লটার, ৪. মাইক্রোফিল্ম, ৫. লাইটপেন ও ৬. স্পিকার ইত্যাদি। 

২. Laptop Computer কী?

উত্তর : সহজে বহনযােগ্য এক ধরনের ছােট Personal Computer হলাে Loptop কোলের উপর রেখে এই কম্পিউটারে কাজ করা যায় বলে এর নাম Laptop Computer | Laptop Computer সাধারণত ৯ X ১২ ইঞ্চি সাইজের হয়ে থাকে। এর ওজন ৭ পাউন্ড এর কাছাকাছি হয়ে থাকে। Laptop এর Display এলসিডি (LCD) হয়ে থাকে এবং এই কম্পিউটারএ সিডিরমসহ মাল্টিমিডিয়া যুক্ত থাকে। কম্পিউটার প্রযুক্তির সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

৩. কম্পিউটার ও মানুষের অমিল কোথায়? 

উত্তর : কম্পিউটার ও মানুষের কাজ করার পদ্ধতির মধ্যে বেশ অমিল পরিলক্ষিত হয়। সবচেয়ে প্রধান যে বৈসাদৃশ্য তা হলাে কম্পিউটার নিজে থেকে কোনাে কিছু করতে পারে না। মানুষ তাকে যা নির্দেশ দিবে কম্পিউটার। কেবল তাই করতে পারে। তবে কম্পিউটার মানুষের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করলেও তা করে অতিশয় বিশ্বস্তভাবে, নির্ভুলভাবে ও দ্রুতগতিতে। মানুষ চিন্তা করতে পারে, কম্পিউটার তা পারে না। মানুষের উদ্ভাবনী (IQ) শক্তি আছে, কম্পিউটারের তা নেই। মানুষ প্রােগ্রামের মাধ্যমে কম্পিউটারকে কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে ইত্যাদি নির্দেশাবলী আগে দিয়ে দেয়। অর্থাৎ মানুষের বুদ্ধি ও বিবেক অনুসারে কম্পিউটার চলে এবং প্রদত্ত নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুতগতিতে সমস্যার সমাধান করে দেয়। 

৪. ৬ষ্ঠ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য লিখুন। 

উত্তর : ৬ষ্ঠ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ : 

  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন। 
  • মৌখিক ভাষা ব্যবহার করে কম্পিউটার চালনা। 
  • কম্পিউটার বর্তনীতে অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহারের ফলে গতিবৃদ্ধি। 
  • মেমােরি ও ডেটা ধারণক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি। 
  • বহু মাইক্রোপ্রসেসর বিশিষ্ট একীভূত বর্তনী। 

৫. RAM এবং ROM বলতে কি বােঝেন? 

উত্তর : র‌্যাম (RAM): র‌্যাম (RAM)-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে র‌্যানডম এক্সেস মেমােরি (Random Access Memory)। এটি কম্পিউটারের অস্থায়ী তথ্য রাখার ভাণ্ডার, যেখানে কম্পিউটারের প্রতি মুহর্তে চলমান সব ডেটা এবং তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। র‌্যামে সব তথ্য জমা থাকে অস্থায়ী ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। যার ফলে কম্পিউটার বন্ধ করার সাথে সাথে এর সব তথ্য মুছে যায়, যা আর পুনরুদ্ধার করা কখনােই সম্ভব হয় না। 

রম (ROM) : রম (ROM)-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে রিড অনলি মেমােরি (Read Only Memory)। এটি কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতি। কম্পিউটার বন্ধ করলে বা বিদ্যুৎ চলে গেলে রমের স্মৃতিতে রক্ষিত সব তথ্যাবলি অক্ষত বা অপরিবর্তিত থাকে। রমে সংরক্ষিত তথ্যের কোনাে সংশােধন, পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করা যায় না।

৬. ভারচ্যুয়াল মেমােরি কি? 

উত্তর : আধুনিক অপারেটিং সিস্টেমগুলােতে সহায়ক মেমােরির (যেমনহার্ডডিস্কে) ফাকা স্থানকে প্রধান মেমােরির অংশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এ অবস্থাকে ভারচুয়াল মেমােরি বলে। যদি ভারচুয়াল মেমােরি অন করা হয় তাহলে কোনাে হার্ডডিস্কের যে পরিমাণ স্থান প্রধান মেমােরির অংশ তথা ভারচুয়াল মেমােরি হিসেবে ব্যবহার করা হবে হার্ডডিস্কে ডেটা সংরক্ষণের জন্য সে পরিমাণ স্থান কম পাওয়া যাবে। আবার ভারচ্যুয়াল মেমােরি অফ করে দিলেই হার্ডডিস্কের যে খালি স্থান ভারচুয়াল মেমােরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল তা ডেটা সংরক্ষণের জন্য খালি পাওয়া যাবে। কম্পিউটার প্রযুক্তির সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

৭.মাউস (Mouse) কি? 

উত্তর : মাউস হচ্ছে ক্যাবল (Cable) বা তারের সাহায্যে কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত ছােট একটি যন্ত্রাংশ। তারের প্রান্ত ধরে যন্ত্রটি ঝুলিয়ে ধরলে যন্ত্রটি দেখতে অনেকটা ইদুরের মতাে দেখায়। মাউসটি নাড়াচড়া করলে কম্পিউটারের পর্দায় একটি তীর (Arrow) নড়াচড়া করে। তীরটির গতিবিধি বা চলাচল টেবিলের উপর রাখা মাউস নাড়াচড়া করে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং পর্দার তীরটিকে বিভিন্ন নির্দেশের (Command) উপর । ক্লিকিং করে কম্পিউটারকে নির্দেশ প্রদান করতে হয়। তাছাড়া মাউসের সাহায্যে পর্দায় লিখিত বিষয়, গ্রাফ, ছবি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণসহ আরও নানা কাজ করা যায়। বর্তমানে তারবিহীন মাউস এর ব্যবহার শুরু হয়েছে যা ব্লু টুথ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। 

৮. প্রধান স্মৃতি কী? এর বৈশিষ্ট্য লিখুন। 

উত্তর : সিপিইউ এর সাথে সরাসরি যুক্ত কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ স্মৃতিকে প্রধান স্মৃতি বলা হয়। ডেটা ইনপুটে হিসেবে প্রবেশ করানাের পর তা প্রক্রিয়াকরণের সময় প্রধান স্মৃতিতে অবস্থান মেমােরিকে ভােলাটাইল মেমােরিও বলা হয়। প্রধান মেমােরি দু’ধরনের র্যাম (RAM = Random Access Memory) ও রম (ROM = Read Only Memory)। প্রধান মেমােরির উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হলাে : ক. প্রধান মেমােরি চলমান প্রােগ্রাম, ডেটা, হিসাব-নিকাশের ফলাফল | প্রভৃতি সংরক্ষণ করে। খ. ডেটা প্রক্রিয়াকরণের কাজ চলাকালীন অন্তর্বর্তী ফলাফল প্রধান | মেমােরিতে জমা হতে থাকে। গ. প্রধান মেমােরির আউটপুট অংশে প্রক্রিয়াকরণের চূড়ান্ত ফলাফল আউটপুট ডিভাইসে প্রেরিত না হওয়া পর্যন্ত জমা থাকে। | ঘ. প্রসেসরের খুব কাছে থাকায় এবং সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় প্রধান মেমােরিতে ডেটা সংরক্ষণ ও তা পঠনের গতি দ্রুত হয়। 

৯. সহায়ক স্মৃতি কী? 

উত্তর : কম্পিউটারে কোন তথ্যকে স্থায়ীভাবে ধরে রাখার জন্য যে স্মৃতি ব্যবহার করা হয় তাকে সহায়ক স্মৃতি বলে। কোনাে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পর তা সহায়ক স্মৃতিতে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা এবং পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের জন্য তথ্যকে সহায়ক স্মৃতি থেকে উত্তোলনও করা যায়। সহায়ক মেমােরি প্রধান মেমােরির তুলনায় অধিক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ও কম গতিবিশিষ্ট। এ মৃতকে বেকিং স্টোর, বাল্ক মেমােরি বা সেকেন্ডারি মেমােরিও বুলা হয়। 

১০. বাইনারি ও দশমিক গণনা পদ্ধতির মধ্যে তফাৎ কি?

উত্তর : বাইনারি ও দশমিক গণনা পদ্ধতির মধ্যে মৌলিক বা ভিত্তিগত পার্থক্য রয়েছে। বাইনারি পদ্ধতিতে গণনার ক্ষেত্রে Base হিসাবে 2-কে গণ্য করা হয় এবং দশমিক গণনার ক্ষেত্রে এই Base হলাে 10।

আরও পড়ুন:চাকরির পরীক্ষায় ভাবসম্প্রসারণ লেখার উপায়

আরও পড়ুন:এসআই পদের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি যেভাবে

আরও পড়ুন: ৪১তম বিসিএসের লিখিত আজ, মানতে হবে যে নির্দেশনা

আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ: ডিসেম্বর মাস 

আরও পড়ুন:৪১তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা : বাংলায় ভালো করার কৌশল

Free Exam দিতে ক্লিক করুন

Ten Minute School

 

Share on

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − two =